কাউন্সিল থেকে ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ বলে তা বাতিলে সম্প্রতি স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সভাপতি মো. মজম্মিল আলী, সভাপতি প্রার্থী ফখরুল আহমদ মতছিন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফারুক আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, যুগ্ম সম্পাদক এএইচএম ফিরোজ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল মুকিদ। তারা অভিযোগ করেন- কাউন্সিল ছাড়াই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে স্মারকলিপিতে তারা ঘোষিত কমিটির সভাপতি পংকি খানকে বিএনপি থেকে আগত নেতা এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতারকে হত্যা মামলার আসামী বলে আখ্যায়িত করেছেন। অভিযোগকারীরার কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়- গত ৮ জুন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের জন্য ভোটের আগে উপস্থিত ১৮৩ জন কাউন্সিলরদের মৌখিক মত নেন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই সভাপতি পদে পংকি খান এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতারের পক্ষে কন্ঠভোটে তাদের মত দেন। মাত্র কয়েকজন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বি অন্য প্রার্থীদের পক্ষে তাদের মতামত জানান। তখন স্বাভাবিকভাবে আর ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। এখন কাউন্সিল প্রক্রিয়াকে নিয়ে যেরকম অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়।
এ ব্যাপারে নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার সিলেটভিউ২৪ডটকমকে জানান- হতাশা থেকেই তারা এরকম অভিযোগ করছেন। সব কাউন্সিলরদের কন্ঠভোটে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তৃণমূলের সিদ্ধান্তেই্ আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। কাউন্সিলরদের মতের প্রতি যারা অভিযোগ করেছেনতাদের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। এ ধরণের অভিযোগ দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী।
বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী ফখরুল আহমদ মতছিন বলেন- আমরা এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছেও অভিযোগ পাঠানো হবে।