তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু ভিসি পদত্যাগ করছেন না। তিনি কৌশলে ২ মাসের ছুটিতে গিয়েছিলেন। এখানো ওনার ছুটি শেষ হয়নি। কিন্তু আজ তিনি সকালে ভিসি ভবনে অবস্থান নিয়েছেন জেনে আমরা তালা দিয়েছি। পরে কার্যদিবস শেষ হওয়ার পর বিকাল ৪টায় তালা খুলে দেয়া হয়েছে।
আগামীকাল সকালেও পুনরায় শিক্ষকরা ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ছুটির শেষ হওয়ার আগেই ভিসি কর্মস্থলে ফিরেই বিশ্বদ্যিালয়ের নয়া প্রক্টর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও নতুন তিন জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অপরদিকে, উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়ার পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দ্য়োকে স্বাগত জানাতে উপাচার্য কার্যালয়ের পাশেই অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ জানান, সরকারই ভিসি ড. আমিনুল হক ভূঁইয়াকে নিয়োগ দিয়েছে। কাজেই তাকে শাবি ছাত্রলীগ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
প্রসঙ্গত, দীঘ দিস থেকে উপাচার্যের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও প্রশাসন পরিচালনায় অযোগ্যতার পাশাপাশি নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’।
আন্দোলনের অংশ হিসাবে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন ৩৫ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অধ্যাপক জাফর ইকবালও ছিলেন।
সরকার সমর্থক শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে দুই মাসের ছুটিতে যান উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া।
তার অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস অতিরিক্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পান।