১. সাতক্ষীরাতে জন্ম নেওয়া সাড়া জাগানো ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজের শুরুটা ব্যাটসম্যান হিসেবে। টেনিস বল দিয়ে তিনি ব্যাট করতেন শুরুতে।
২. সাতক্ষীরাতে অনুর্ধ্ব-১৭ ত্রিকেট টুর্নামেন্টে ভালো করে প্রথম নজর কাড়েন। সুযোগ আসে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ট্রায়াল দেওয়ার।
৩. সুযোগ পান বিসিবির পেস ফাউন্ডেশনে।সেখানে নজর কাড়ার পর সুযোগ আসে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের নেটে বল করার। এরপর নিয়মিত সদস্য হয়ে যান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের।
৪. আজকের মুস্তাফিজ হওয়ার পিছনে বড় অবদান তার পরিবারের। বিশেষ করে বড় ভাই মোখলেছুর রহমানের।তিনি প্রতিদিন ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোচিংয়ে মুস্তাফিজকে আনা নেওয়া করতেন তার মোটর সাইকেলে করে।
৫. প্রথম শ্রেনীর ম্যাচে তার অভিষেক হয় ২০১৪ সালে খুলনার হয়ে। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে মাত্র এক উইকেট নেন।
৬. তবে দ্রুত উন্নতি করে জাতীয় লিগে অসাধারণ বোলিং করেন।ক্যারিয়ারের প্রথম লিগেই ২৬ উইকেট নেন মাত্র ১৮.০৩ গড়ে।
৭. ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্রেক পান তিনি চলতি বছর। পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাক পান একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।মাত্র ২০ রান দিয়ে মোহাম্মদ হাফিজ এবং শহীদ আফ্রিদির উইকেট পান।
৮. মুস্তাফিজের প্রধান অস্ত্র হলো, স্লোয়ার অফকাটার। এটা তিনি উন্নতি করেন অনুর্ধ্ব-১৯ এবং জাতীয় দলে নেটে প্রাকটিস করার সময়। নেট প্রাকটিসে একদিন এনামুল হক বিজয় তাকে বললো,‘ তুমি কি আমাকের স্লোয়ার কাটার দিয়ে আউট করতে পারবে?’ চেষ্টা করলেন এবং বিজয়কে স্লোয়ার কাটারেরই আউট করলেন মুস্তাফিজ।
৯. ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে নেন ৫০ রানে ৫ উইকেট।পরের ম্যাচে ৪৩ রানে ৬ উইকেট। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়ে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড।
১০. মুস্তাফিজের আইডল পাকিস্তানের তরুণ ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির।