
দুর্ঘটনা রোধ ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সড়ক ব্যবহারকারীদের মানসিকতার পরিবর্তন। সড়ক ব্যবহারকারীরা নিজেদের মাঝে এ পরিবর্তন না আনলে, দেশের সব সড়ককে ১৬ লেনে উন্নীত করলেও তা দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ সড়কে পরিণত করা সম্ভব হবে না।
দেশের সব কিছুতেই রাজনীতি জড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির কারণেই রাস্তা দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। উচ্ছেদ কার্যক্রমও সফল হচ্ছে না।
‘কেউ কাউকে পরোয়া করে না’ -এমন আক্ষেপ করে মন্ত্রী আরো বলেন, যারা রাস্তা দখল করে আছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন সেখানেও রাজনীতি রয়েছে। তাই ইঞ্জিনিয়ার বা ঠিকাদাররা রাস্তার কাজ করতে গিয়ে তাদের উচ্ছেদ করতে ভয় পায়। সে ক্ষেত্রে আমাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং যানজট নিরসনে একাধিক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। এর জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের উদ্যোগে শিগগিরই এ কমিটি কাজ শুরু করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ট্রমালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডা. জন মুসালেহ। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি বিধান চন্দ্র পাল।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ট্রমালিংক ‘বিপদে আমরা’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিশেষ টাস্কফোর্স মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার ‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা এবং অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।