এই জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতটি বেসুরে গাওয়ার সময় উপস্থিত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতির আসনে বসা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়াসহ উপস্থিত অন্যান্য সদস্যরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। আর আনন্দ পেয়ে অন্য সদস্যরাও টেবিল চাপড়ান।
মঙ্গলবার দুপুরে সংসদের বৈঠকে আসন্ন বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কাণ্ড করে দেখান। এমনকি স্পিকারের অনুমতি না নিয়েই তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করা শুরু করেন। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী কেউ লিখিত বক্তব্য কিংবা ইংরেজিতে বক্তব্য দিতে চাইলে স্পিকারের অনুমতি নিতে হয়। যদিও শুরুতে তিনি বাংলায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করছিলেন।
এ সময় তার জন্য নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে ডেপুটি স্পিকার লিখিত বক্তব্য না পাঠ করার আহ্বান জানান। পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ইংরেজিতে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। সময় শেষ হলেও কয়েক সেকেন্ড বক্তব্য চালিয়ে যান তিনি। তার এ বক্তব্য খুব আস্তে হওয়ায় অনেকেই শুনতে পাননি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ও প্রকাশ্যে সিগারেট খেয়ে এবং সাংবাদিকদের সম্পর্কে কটূক্তি করে সমালোচিত হয়েছেন মন্ত্রী মহসিন।
গান গাওয়ার আগে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও শাস্তির দুয়ার খুলে দেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। তাই সারাদেশে আজ একই শ্লোগান উঠেছে, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
এ সময় ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানান মন্ত্রী। এছাড়া এ হামলায় মৃত্যুবরণকারী পরিবারকে প্রতিমাসে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান করেনি তিনি।