![]() |
এদিকে ছুটি শুরু হতে না হতেই বাড়ি চলে যাওয়ার ধুম পরেছে শাবির শিক্ষার্থীদের মাঝে। অনেকেই চলে গেছেন, অনেকেই যাবো যাবো করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও মেসগুলোতে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই অনেক বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে, কোন কোন বিভাগে শেষের পথে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় এক আজব চিত্র। যদিও এখনো ছুটি শুরু হতে আরো একদিন বাকি তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনশান নীরব, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এতই কম যে দেখে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় যেনো কারো শোকে মুহ্যমান!
দ্বিতীয় ছাত্রহলের আবাসিক ছাত্র রফিক বুধবার বাড়ির পথে কিশোরগঞ্জ রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে মা-বাবা অপেক্ষা করে আছে। বাড়িতে সবার সাথে মিলে একসাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। ঈদের আনন্দ সবার সাথে মিলে মিশে ভাগ করে নেওয়ার জন্যই তার এই বাড়ি যাওয়া।’ বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না বাড়ির জন্য তেমন কিছু নেই নি, বাড়িতে গিয়েই ঈদের কেনাকাটা করবো।’
জামালপুরের ছাত্র মেহেদী কবীর জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি বাড়িতে যাবেন শব-ই-কদরের পরে। ক্যা¤পাস ছুটি হলেও সিলেটে বেশ কিছু কাজ থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্তে¡ও বাড়ি যেতে পারছেন না তিনি। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘আসলে মাত্র কয়েকদিন আগে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় আমরা যারা দূর থেকে পড়তে এসেছি তাদের এই অল্প সময়ে দুইবার বাড়ি যাওয়া কিছুটা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। যদি প্রশাসন গ্রীষ্মকালীন ছুটিটি আরো পিছিয়ে দুটি ছুটি একসাথে করে সমস্ত রমজান ছুটি দিতো তাহলে সবচেয়ে ভালো হতো। তাহলে বাড়ির মানুষদের সাথে আরো বেশি সময় কাটাতে পারতাম।’
এদিকে শাবি শিক্ষার্থীদের অনেকেই সিলেট থেকে ঈদের কেনাকাটা করে ফেলেছেন, অনেকে বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে মিলে করবেন।