বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এভাবে আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত টিকেট বিক্রি চলবে। আজ ৯ জুলাই সকাল ৯টা থেকে আগামী ১৩ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।
দেশের অন্যান্য রেল স্টেশনে টিকেট সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইন থাকলেও সিলেটে এমন দৃশ্য লক্ষ করা যায়নি। সহরীর পর কদমতলীস্থ রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকেট সংগ্রহের জন্য কোন যাত্রী আসেনি। তবে সকাল ৭টা থেকে যাত্রীরা টিকেট সংগ্রহের জন্য স্টেশনে এসেছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আগামীকাল ১০ জুলাই ১৪ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের এবং ১৩ জুলাই দেয়া হবে ১৭ জুলাইয়ের টিকেট। এছাড়া ফিরতি টিকেট বিক্রি হবে ১৬ জুলাই থেকে। ওইদিন বিক্রি হবে ২০ জুলাইয়ের টিকেট, ১৭ জুলাই ২১ জুলাইয়ের, ১৮ জুলাই ২২ জুলাইয়ের এবং ১৯ জুলাই বিক্রি হবে ২৩ জুলাইয়ের টিকেট। আগামী ২০ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার কথা। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তা পরিবর্তন হলে ২০ জুলাই ২৪ জুলাইয়ের ফিরতি অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে। কারণ, ঈদের দিন ট্রেন বন্ধ থাকবে। ঈদের পরদিন থেকে আবারও সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে কোনো ¯েপশাল ট্রেন রাখা হয়নি। ফলে, রুট দ’ুটির ট্রেনে আসন পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ঘরমুখো লোকজন। ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে তারা শংকায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট রেলওয়ের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ বাড়ে; কিন্তু সে অনুপাতে আমাদের আসন নেই। আগে একটি ট্রেনে ১৮ থেকে ২০টি বগি থাকতো, কিন্তু এখন সেগুলো সংকুচিত হয়ে ১২/১৩টিতে পৌঁছেছে। চাহিদার কথা জানানো হলে এবারও এ রুটে কোন স্পেশাল ট্রেন বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে, যাত্রীর চাপ সামলাতে রুট দু’টিতে চলাচলকারী ছয়টি আন্ত:নগর ট্রেনেই বাড়তি বগি বা কোচ সংযোজনের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, ঈদের তিন দিন আগে থেকে প্রতিটি আন্ত:নগর ট্রেনে এবার ২টি করে বগি সংযোজন করা হচ্ছে। এছাড়াও ঈদে যাত্রী চলাচলেও যাতে কোনো ধরণের অসুবিধা না হয় সে জন্য রেলওয়ে স্টেশন ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।