বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়- গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭০টি মামলা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক আইনে রেকর্ড হয়েছে। এসব মামলায় এজহারনামীয় আসামী হয়েছেন দেড় সহস্রাধিক। এর মধ্যে জেল খেটে জামিনে বের হয়েছেন প্রায় আড়াইশত নেতাকর্মী। অনেকে উচ্চ আদালত থেকেও জামিন নিয়েছেন।
সম্প্রতি ২০ দলীয় জোট তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখাতে থাকে। এ অবস্থায় সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের উপর দায়েরকৃত মামলাগুলোতে জামিন নিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কেউ সিলেটের বিভিন্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করছেন। জামিন নামঞ্জুর হয়ে কোন নেতাকর্মী জেলে গেলে হাইকোট থেকে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে জামিন নিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ এবং রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীরা। ৫ জানুয়ারি পরবর্তী সময়ে যেসব নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের দিয়ে মামলা হয়েছিল সেসব মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ওইসব মামলায় নতুন করে আসামী হওয়ার শঙ্কায় ভূগছেন নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ বলেন- রাজপথের আন্দোলন বন্ধ করতে সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের একের পর এক মামলায় আসামী করা হচ্ছে। আন্দোলনের সময় যেসব মামলায় আসামী অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে সেসব মামলায় নিরাপরাধ নেতাকর্মীদের আসামী করার পাঁয়তারা চলছে। ফলে বিভিন্ন মামলায় জামিনে থাকা নেতাকর্মীরা স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না।