অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে মনোরম শহর স্যালজবুর্গে অবস্থিত পুরোপুরি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় লাইসেন্সকৃত পাসচা পতিতালয় সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে চলতি গ্রীষ্মের বিশেষ প্যাকেজ হিসেবে তারা খদ্দেরদের আট সপ্তাহ ধরে যত খুশি তত পরিমাণ যৌনতা ও মদ বিনামূল্যে সরবরাহ করবে।
পতিতালয়টির মালিক হারম্যান ‘পাসচা’ মুলার বলেন, ওই আট সপ্তাহ তিনি নিজ পকেট থেকে তার পতিতালয়ের যৌনকর্মীদের মজুরি শোধ করবেন। তিনি বলেন, সরকারি রাজস্ব দপ্তর তার আয়ে ভাগ বসানোতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আর এ কারণেই প্রতিবাদ জানাতে তিনি এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন।
এই ঘোষাণা দেওয়ার পর থেকে ওই পতিতালয়ে খদ্দেরের ঢল নামে। কিন্তু সব খদ্দেরের চাহিদা পুরণে ব্যর্থ হওয়ায় অসংখ্য খদ্দেরকে খালি হাতেই ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।
পতিতালয়টির মালিক জার্মান বংশোদ্ভুত মুলার অস্ট্রিয়ার ক্রোনেন জেইটুঙ্গ নামের একটি সংবাদ ট্যাবলয়েডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এই অভিনব প্রতিবাদে তার ব্যাপক প্রচারণা হলেও তিনি মাত্র আট সপ্তাহ পর্যন্ত এর ব্যায়ভার বহন করতে পারবেন।
মুলার বলেন, সরকারি কর দপ্তর বৈধ পতিতালয়গুলোর উপর ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে; অথচ রাস্তায় ভাসমান ও অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে চলা পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘গত দশ বছরে আমি মোট প্রায় ৫০ লাখ ইউরো কর দিয়েছি। কিন্তু এরপরও কর কর্মকর্তারা আরো বেশি বেশি কর দাবি করছেন। তারা আমাকে কোনো স্বস্তি দিচ্ছেন না। প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে তারা আমাকে জ্বালাতন করতে আসছেন। এমনকি আমার বিরুদ্ধে করফাঁকি ও মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেও হয়রানি করছেন।
মুলার তার বিরুদ্ধে আনীত করফাঁকি ও মানব পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান তিনি পুরোপুরি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় যৌন ব্যবসা করে আসছেন। অস্ট্রিয়ায় পতিতালয় চালানো আইনত বৈধ একটি ব্যবসা।
তবে দেশটির বেশিরভাগ যৌনকর্মী ভিনদেশ থেকে আসা অভিবাসী। দেশটির বেশিরভাগ যৌনকর্মী বলকান, রাশিয়া ব্যাতিত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ও নাইজেরিয়া থেকে এসেছে। এ কারণেই কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে অবৈধ মানবপাচারের মাধ্যমেই হয়তো এই যৌনকর্মীদের সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ধারণা করা হয় অস্ট্রিয়ায় মোট যৌন কর্মী রয়েছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার জন। আর তারা প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার খদ্দেরকে যৌন সেবা সরবরাহ করে থাকেন।