মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি কারো মৃত্যু কামনা করি না। তবে মুজাহিদ যে অপরাধ করেছে তাতে আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী সিরাজুল, আলতাফ, বদি হত্যার বিচার হয়েছে এতে আমি আপিল বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, এখন শুধু আমি নই আমরা সবাই মনে করি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী একটি দল দেশের মাটিতে রাজনীতি করবে এটা হতে পারে না, ঠিকও নয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ৭১ সালে জাতিকে মেধাশূন্য করা ও গণহত্যা ষড়যন্ত্রের প্রধান হোতা ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপক পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যথার্থ ভাবেই মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন। ফাঁসির রায় বহাল না থাকলে তা অবিশ্বাস্য হত।
তিনি বলেন, মুজাহিদের অপরাধের তথ্য জামায়াতের দলিল থেকেই পাওয়া যায়। সুতরাং আলাদাভাবে বিচারের বিবেচ্য বিষয় নয়, মুজাহিদের বাহিনী এটা করেছে এটাই বিবেচ্য বিষয়। এই রায় সেভাবেই এসেছে।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক গবেষক মেজর জেনারেল শামসুল আরেফিন বলেছেন, মুজাহিদ যে আসল অপরাধী আদালতে তাই প্রমাণ হয়েছে। সে অনুযায়ি তার বিচার হবে।