গত এপ্রিল মাসে সকিনা থানায় ২৯ বছরের এক মডেলকে গণধর্ষণের অভিযোগে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর সুনীল খাপতে, সুরেশ সূর্যবংশী এবং কনস্টেবল যোগেশ পান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযোগ, শ্লীলতাহানির সময় চরম বর্বরতার শিকার হন ওই যুবতী। মেডিক্যাল পরীক্ষায় তাঁর স্তনে কামড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া জোর করে oral sex-এর জেরে যুবতীর দাঁত ভেঙে গিয়েছে বলেও ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে!
ঘটনার জেরে খোদ মুম্বাই পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়ার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা। চার্জশিট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত এক অভিযুক্ত ফেরার।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
নিগৃহীতার পেশ করা বয়ান অনুযায়ী, ‘২ এপ্রিল আমাকে ও আমার এক বন্ধুকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। আমাদের প্রথমে সকিনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। এরপর আমাদের সংঘর্ষ নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকাও দাবি করে পুলিশকর্মীরা।’
প্রসঙ্গত, ধর্ষণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছুক্ষণ পর নিজের ক্ষতবিক্ষত স্তনের ছবি তুলেছিলেন ওই মডেল। পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সময় সেই ছবি তিনি পেশ করেন। ফোটো এবং যে মোবাইল ফোনের সাহায্যে তা তোলা হয়েছিল, দু’টিই ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী খাপতের দাঁতের গঠনের সঙ্গে নিগৃহীতার শরীরের ক্ষতচিহ্ন মিলে যাওয়ায় নিঃসন্দেহ হন গোয়েন্দারা।
তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ঘটনায় মোট ১০৫ জন পুলিশকর্মীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২১জন অন্য সাক্ষীর বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সাক্ষীদের অধিকাংশ পুলিশকর্মী হওয়ার কারণে আদালতে মামলাটি তাঁদের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।