তেলিহাওর গ্রুপে সভাপতি পদে প্রার্থী স্থগিতকৃত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে মো. বাশার, সুবিনয় চন্দ্র মল্লিক, এম নিজাম উদ্দিন, জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, টিপু রঞ্জন দাশ ও তোফায়েল আহমদ।
সোনার বাংলা গ্রুপে সভাপতি পদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি অঞ্জন রায়, সাধারণ সম্পাদক পদে তারেক হাসান চৌধুরী ও সামন্ত ধর।
টিলাগড়ের এমপি গ্রুপে সভাপতি পদে রাশেদ ইসলাম রাশেদ, পঙ্কজ পুরকায়স্থ গ্রুপে স্থগিতকৃত কমিটির স্কুল বিষয়ক সম্পাদক হোসাইন আহমদ ও রুহেল তালুকদার লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাদেল গ্রুপে সভাপতি পদে মামুনুর রশীদ মামুন ও শাহরিয়ার বখত রাজু, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইমরান চৌধুরী রয়েছেন।
কাশ্মীর (বিধান সাহা) গ্রুপে সভাপতি পদে এম রশিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক পদে রথিন্দ্র দাস ভক্ত, ধনঞ্জয় দাস ধনু’র জন্য জোর লবিং করছেন সংশ্লিষ্ট গ্রুপে নেতৃস্থানীয়রা। অনেকেই আবার চাইছেন স্থগিতকৃত পুরনো কমিটি বহাল রাখতে। ফলে বেশ জমে উঠেছে সিলেট ছাত্রলীগের গ্রুপিং লবিং।
তবে তৃণমূল ছাত্রলীগের বেশীর ভাগ নেতাকর্মীই চান নতুন পুরনোদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি। যতে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি সিলেট জেলা কমিটির অতীতের কলঙ্ক মুছে গতিশীল হতে পারে।
সর্বশেষ বিগত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর হিরণ মাহমুদ নিপু ও ফরহাদ হোসেন খান নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর অভিভাবকহীন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সিলেট এমসি কলেজ, মদন মোহন কলেজ সহ বিভিন্ন স্থানে নিজের মধ্যে মারামারি সহ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়। এরআগে ২০১০ সালে ১৮ অক্টোবর পঙ্কজ পুরকায়স্থ সভাপতি এবং ফরহাদ হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর এ কমিটি গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, বিশ্বনাথ ৩টি কমিটি গঠন করে। তবে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পঙ্কজ পুরকায়স্থের বহিষ্কারের ফলে ছন্দপতন ঘটে। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে হিরণ মাহমুদ নিপু ও ফরহাদ হোসেন খান নগরীর হোটেল নির্ভানা ইনে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটি গঠন করেন। কিন্তু এ দিনেই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নগরীর মীর্জাজাঙ্গালে ছাত্রলীগ সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর আর আগাতে পারেনি এ কমিটি। এরপর কোর্ট পয়েন্টে সিপিবি বাসদের সমাবেশে হিরণ মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে হামলার পর পরই স্থগিত করা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি। যা অদ্যবধি বলবৎ আছে।
এদিকে রোববার সিলেটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সিলেট আসলেও অনেক আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
এব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান বলেন, এটা ছাত্রলীগের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।
সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, এখনো আলোচনা হয়নি। সভাপতিকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করা হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন বলেন, এখনো ঠিক হয়নি। এডভোকেট রনজিত সরকার বলেন, আমরা চাইবো পুরনো কমিটি যেন বহাল থাকে। ফরহাদ হোসেন খান বলেন, রোববার কর্মীসভা হবে।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত দরফদার বলেন, জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত নিবেন। এরপর স্বচ্ছ কমিটি দেবেন আশা রাখি। সুবিনয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এমন একটি কমিটি উপহার দেবেন যাতে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। সবাই ব্যাপারে উন্মুখ।