বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বানিয়াচংয়ের সিকন্দরপুর গ্রামের নাইওর মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়- বুধবার দুপুরে সিকন্দরপুর গ্রামের মৃত সুবোধ দাস বেনুর মেয়ে সিকন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১২) তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি হাওর থেকে তার ভাইয়ের শিকার করা মাছ আনতে যায়। এ সময় ঘন মেঘে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় মেয়েটিকে একা পেয়ে একই গ্রামের জাকারিয়া জোর করে সাদবপুর ফিসারির পূর্বে নদীর পাড়ের গাছ বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে। এ সময় মেয়েটির শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা মেয়েটির খোঁজখবর নেন।
শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীর মা ল²ী রানী দাস বাদী হয়ে জাকারিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, জাকারিয়া পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিশ চুনারুঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।