বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে দলের বন্দরবাজারস্থ কার্যালয় থেকে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হন পার্টির নেতা কর্মীরা।
সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন – অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করার লক্ষে সুষম – ন্যায়ভিত্তিক গণমুখী বাজেট প্রনয়ণ করতে হবে। নতুন পে স্কেলে শ্রমিকদের যে মজুরী ও বেতনভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে তা সংস্কার করারও দাবী জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। সমুদ্র বন্দর, সুন্দরবনসহ জাতীয় সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। বিএনপি-জামাতের সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণ দিতে হবে। খেতমজুর ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কৃষি আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমতলের আদিবাসীদের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমতলের আদিবাসীদের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশেষ ডিভিশন গঠন করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আন্তঃজেলা রেল যোগাযোগ স্থাপনে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সরকারী-বেসরকারী শিক্ষকদের অভিন্ন ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন গঠন করতে হবে। পল্লী রেশনিং চালু করতে হবে। দূর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কালো টাকাকে বৈধ করা বন্ধ করতে হবে। নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও প্রজনন খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। শিশু নারী ও মানবপাচার রোধে নিরাপত্তা বিধান কল্পে বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য কমরেড আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকান্দর আলী, সিলেট জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড সিরাজ আহমেদ, সিলেট জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি সংসদ সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড ইন্দ্রানী সেন শম্পা, জেলা নেতা হুমায়ুন কবীর, দীনবন্ধু পাল, অজিত দেবনাথ, অরুন কুমার রায়, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী আলফাজ হোসেন, যুবমৈত্রী সিলেট মহানগরের নেতা শামীম মজুমদার, আবদুল্লাহ খোকন, মুহিত খান, আঙ্গুর আলী, নারীমুক্তি সংসদ সিলেটের নেতা সায়েদা আক্তার, সিরাজুন্নেছা জেবু, রেহানা বেগম, ছাত্রমৈত্রী সিলেটের সভাপতি স্বপন দাস ও ছাত্রমৈত্রী সিলেট জেলা নেতা সারতি ওঁরাও, রোকন উদ্দিন, তাহমিনা আক্তার তৃপ্তি, মুক্তা বেগম, মোঃ রফিক, শুভাশিষ রায় প্রমূখ।