সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ৬টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি খাতে সই হবে তিনটি চুক্তি এবং অপর তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বেসরকারি খাতে। সরকারি খাতে শিক্ষা, তথ্য ও শুল্কবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বেসরকারি খাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ এবং শাহজালাল সার কারখানা প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হওয়ারও কথা রয়েছে। বৈঠকে চীনের অর্থায়নে বঙ্গপোসাগরে সোনাদিয়ায় প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়টিও উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানদং-এর সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। লিউ ইয়ানদংকে চীন তো বটেই বিশ্বেও অন্যতম ক্ষমতাসীন নারী রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আগে চীনের রাজনৈতিক ইতিহাসে কখনো তার মতো কোনো নারী এত উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হননি। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ৯ সদস্যের পলিট ব্যুরোর একমাত্র নারী সদস্য হচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সী লিউ ইয়ানদং। পার্টির প্রভাবশালী অবস্থানেই রয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও লিউ ইয়ানদং-এর প্রভাব ও পরিচিতি রয়েছে।